অনেক সময় লিপস্টিক ব্যবহারের পর রং দেখতে অন্য রকম দেখায়। তবে কিছু সাধারণ টোটকা জানা থাকলে এই সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলা যায়। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে লিপস্টিক লাগানোর কিছু নিয়ম উল্লেখ করা হয়।

এক্সফলিয়েট করা: ত্বকের যেমন যত্ন নেওয়া হয় একইভাবে ঠোঁটেরও আলাদা যত্ন নেওয়া জরুরি। নিয়ম করে এক্সফলিয়েট করা হলে ঠোঁটের মরা চামড়া পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং এরপর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

সামঞ্জস্যতা বজায় রাখা: মেইকআপের ক্ষেত্রে চেহারার যে কোনো একটি অংশকে ফুটিয়ে তোলা উচিত। তাই যদি ঠোঁটে গাঢ় রংয়ের লিপস্টিক লাগাতে চান হবে অবশ্যই মুখ এবং চোখের মেইকআপ হালকা করতে হবে। অন্যদিকে চোখে গাঢ় মেইকআপ করলে ঠোঁটে হালকা রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে।

বাড়তি চকচকে ভাব এরিয়ে চলুন: ঠোঁটে আলগা চকচকে উপাদানের ব্যবহার দেখতে বেশ বাজে লাগে। লিপস্টিকের ময়েশ্চারাইজার এবং এতে ব্যবহৃত উপাদানের কারণে ঠোঁটে বাড়তি চকচকেভাব থাকলে তা দেখতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু ঠোঁটে মেটালিক বা জরির মতো ‘‍শিমার’ ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।

প্রাইমার ব্যবহার: লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে। মেইকআপের শুরুতে যেমন ত্বকে প্রাইমার ব্যবহার করতে হয় একইভাবে ঠোঁটেও প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত। এতে লিপস্টিকের রং ফুটে উঠবে এবং অনেকক্ষণ স্থায়ী হবে।

লিপ লাইনার ব্যবহার: ঠোঁটের গঠন নিখুঁত করে তুলতে লিপ লাইনার ব্যবহার বেশ জরুরি। ঠোঁট মোটা বা চিকন দেখানোর জন্য লিপ লাইনার বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে লিপস্টিকের রংয়ের সঙ্গে লিপ লাইনারের রং না মিললে দেখতে উল্টা বাজে দেখাবে।

ঠোঁটের মাঝামাঝি থেকে শুরু করতে হবে: ঠোঁটের মাঝখান থেকে লিপস্টিক লাগানো শুরু করতে হবে। এতে লিপস্টিক ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকবে। তাছাড়া গাঢ় লিপস্টিকের ক্ষেত্রে একটি ব্রাশ দিয়ে ঠোঁটে লাগালে তা আরও নিখুঁত হবে।

ঠোঁটের চারপাশ হালকা করে নিন: ঠোঁটের চারপাশের রেখা বেশি নিখুঁত হলে দেখতে অস্বাভাবিক লাগতে পারে। এক্ষেত্রে চারপাশে খানিকটা হালকা স্মাজ করে নিলে দেখতে ভালো দেখাবে।

টিস্যু ব্যবহার: গাঢ় লিপস্টিক ব্যবহারের পর ঠোঁটে একটি টিস্যু হালকা করে চেপে ধরে আবার দ্বিতীয় পরত লিপস্টিক লাগাতে হবে। টিস্যু চেপে ধরার ফলে অতিরিক্ত তেল বা বাড়তি লিপস্টিক উঠে আসবে। এর উপর প্রয়োজনে আরেক পরত লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে।